আমের উপকারিতা ও পুস্টিগুন

আমের উপকারিতা ও পুস্টিগুন

বাঙালির পাশাপাশি বিশ্বের অনেক মানুষের কাছেই আম অতি প্রিয় একটি ফল। তাইতো বলা হয়ে থাকে, আম অপছন্দ করেন এমন লোকের সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। কাঁচা অথবা পাকা যে আমই হোক না কেন, লোভের চোটে বেশি খেয়েও নেন অনেকে৷ তাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই মৌসুমে কাঁচা অথবা পাকা আম উভয়ই উপকারী৷ তবে পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আমের গুণ বেশি।

ঠিক এই সময়টিতে পাকা আমের ঘ্রাণে মম করে বাজার থেকে শুরু করে প্রতিটি বাসা। বিভিন্ন প্রজাতির, স্বাদে ও আকারের পাকা আমের জন্য পুরো বছর জুড়ে অপেক্ষার অবসান ঘটে এ মৌসুমে। সকাল-বিকালের নাশতা কিংবা দুপুরের ভাত, সাথে একটি পাকা আম না হলে যেন খাওয়ার পূর্ণতাই আসে না।

 

আমের উপকারিতা ও পুস্টিগুন

এমন জনপ্রিয় যে ফল, তার কি শুধুই স্বাদটাই ভালো, নাকি উপকারী পুষ্টিও পাওয়া যাবে ফলটি থেকে? জেনে রাখা ভালো, ১০০ গ্রাম পাকা আম থেকে একসাথে যা পাওয়া যাবে-

  • ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট,
  • .৩৮ গ্রাম ফ্যাট,
  • .৮২ গ্রাম প্রোটিন,
  • .০২৮ মিলিগ্রাম থায়ামিন,
  • .০৩৮ মিলিগ্রাম রিবোফ্লাবিন,
  • .৬৬৯ মিলিগ্রাম নায়াসিন,
  • .১১৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন-বি৬,
  • .৪৩ মিলিগ্রাম ফলেট,
  • ৭.৬ মিলিগ্রাম ক্লোলিন,
  • ৩৬.৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি,
  • ০.৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন-ই,
  • ১১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম,
  • .১৬ মিলিগ্রাম আয়রন,
  • ১০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম,
  • ০৬৩ মিলিগ্রাম ম্যানগানিজ,
  • ১৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস,
  • ১৬৮ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম,
  • ১ মিলিগ্রাম সোডিয়াম এবং
  • .০৯ মিলিগ্রাম জিংক।

 

আমের উপকারিতা ও পুস্টিগুন

আরও জেনে নিন সুমিষ্ট পাকা আমের দারুণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-

কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে

পাকা আমে থাকে উচ্চমাত্রার ভিটামিন-সি, পেকটিন ও আঁশ। যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমাতে কাজ করে। ফ্রেশ আমে থাকা পটাশিয়াম আমাদের শরীরের তরলের জন্য খুবই জরুরি একটি পুষ্টি উপাদান, যা উচ্চ রক্ত চাপকে নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

কমায় অ্যাসিডিটির সমস্যা

আমে রয়েছে টারটারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড ও অল্প পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিডিক উপাদানগুলো অ্যালকালাইজিং এর মাধ্যমে অ্যাসিডিটির সমস্যাকে প্রশমিত করতে কাজ করে।

খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে

পাকা আমের পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ জাতীয় উপাদান হলো পেকটিন। যা পাকস্থলিস্থ খাদ্য উপাদানকে ভালোভাবে পরিপাক হতে সাহায্য করে। এছাড়া আমের বিশেষ কিছু এনজাইম খাদ্য উপাদানের প্রোটিনকে ভালোভাবে ভেঙে ফেলতে কাজ করে। যা সামগ্রিকভাবে পরিপাক ক্রিয়ায় অবদান রাখে।

চোখের জন্য উপকারী

পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-এ’র উপস্থিতি রয়েছে সুমিষ্ট এই ফলটিতে। বড় একটি পাকা আমের এক পাশের অংশ থেকেই পাওয়া যাবে সারাদিনের প্রয়োজনের ২৫ শতাংশ ভিটামিন-এ। ড্রাই আই প্রবলেম কমাতেও পাকা আম উপকারী।

ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী

আমে থাকা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন-সি ত্বকের সুস্থতার জন্য খুবই জরুরি। প্রয়োজনীয় এই ভিটামিনটি ত্বকের কোলাজেন তৈরিকে ত্বরান্বিত করে, যা ত্বকের বয়সের ছাপ পড়ার সমস্যাকে স্লথ করে। এছাড়া আমে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চুলের ফলিকলকে অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে, যা চুল পড়ার হার কমিয়ে আনে।

বাড়াতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

আমে থাকা ভিটামিন-সি, এ ও অন্যান্য ২৫ ধরনের ক্যারোটেনয়েডস খুব সহজেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে কাজ করবে। রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি ইনফেকশনের সমস্যা কমাতেও সমানভাবে অবদান রাখবে ফলেট সমৃদ্ধ এই ফলটি।

ফরমালিন ও কেমিক্যাল মুক্ত আম অর্ডার করতে ক্লিক করুন এখানে

 

তথ্যসুত্রঃ বঙ্গবিডি ম্যাগাজিন

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter